ঘরগুলোর সবাই মৃত। কেবল একজন বেঁচে। সে আমি। আমার কি কোনো নাম আছে?
থাকলেও আমাকে বলেনি কেউ। শুনেছি আমি অর্ধেক জানোয়ার, অর্ধেক দেবদূত।
কফি খেতে গিয়ে দেখলাম আমার চোখগুলো - ঘোলাটে, নীল নয়। খানিকটা সত্যের আভাস পেলাম।
কথারা একা রাস্তায় রাস্তায় ঘোরে, আমার মত, সেলসম্যান ভেবে কেউ দরজা খোলে না।
কোন দিকে যাব ঠিক জানি না,শুধু ধাক্কা লাগলে জানি নির্ঘাত দূরে যেতে হবে।
লুকোচুরি খেলেছি অনেক ছোটবেলায়, এখন নিজের সাথে।
ভুলে যাওয়াকে ভয় পাই না, ভয় পাওয়াকে ভুলে যেতে চাই।
সারাদিন বৃষ্টির সাথে ঘর করি, তবু ভিজি না।
দেওয়ালির পোকার মতন ফিরে ফিরে আসে মন খারাপ।
জানি কখন ফাটল ধরে, চেয়ারের পায়ায়, পুরনো আলমারিতে, মনে।
কবিতারা দেখভাল করে। গায়ে কাঁথা টেনে দেয়, না খেয়ে শুয়ে পড়লে ডেকে তোলে না।
দেশলাইয়ের মত জ্বলে নিভে যাই, পুড়ি ও।
চেনা মুখগুলোকে গোর দি আবার হোঁচট খাব বলে।
কোনদিন আঁকিনি, রামধনু দেখাতে নিয়ে যায়নি কেউ, তাই।
জানি আমি তোমার বিপরীত, জুড়ে দিলে একটা সরলরেখা হবে।
No comments:
Post a Comment